০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

কৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবী থেকে ১ হাজার ২৯০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা এক সুপার ম্যাসিভ বা বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল) থেকে অতি শক্তিশালী রশ্মি সরাসরি আমাদের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের প্রায় ১০ কোটি বছর পর এই রশ্মি নির্গত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জে০৪১০-০১৩৯ নামের কৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে আসা রশ্মি পর্যালোচনা করে মহাবিশ্বের শৈশবকালে বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে বিকশিত হয়েছে, তা জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। কৃষ্ণগহ্বরটির ভর প্রায় ৭০ কোটি সূর্যের সমান। নাসার চন্দ্র অবজারভেটরি, চিলির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপসহ বেশ কয়েকটি টেলিস্কোপের তথ্য পর্যালোচনা করে এই রশ্মি শনাক্ত করা হয়েছে।

বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বরটি মহাবিশ্বের প্রথম সময়কার তথ্যাদি জানতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমির বিজ্ঞানী এমানুয়েল মোমজিয়ান বলেন, নতুন কৃষ্ণগহ্বর মহাজাগতিক শক্তির রশ্মি হিসেবে সরাসরি অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেবে। কয়েক দশক ধরে মহাবিশ্বে থাকা বিভিন্ন কৃষ্ণগহ্বরের শক্তিশালী রশ্মির কথা জানা গেলেও সেগুলোর গতি বা বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের।

সূত্র: এনডিটিভি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি

আপডেট সময় ০৭:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

পৃথিবী থেকে ১ হাজার ২৯০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা এক সুপার ম্যাসিভ বা বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল) থেকে অতি শক্তিশালী রশ্মি সরাসরি আমাদের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের প্রায় ১০ কোটি বছর পর এই রশ্মি নির্গত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জে০৪১০-০১৩৯ নামের কৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে আসা রশ্মি পর্যালোচনা করে মহাবিশ্বের শৈশবকালে বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে বিকশিত হয়েছে, তা জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। কৃষ্ণগহ্বরটির ভর প্রায় ৭০ কোটি সূর্যের সমান। নাসার চন্দ্র অবজারভেটরি, চিলির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপসহ বেশ কয়েকটি টেলিস্কোপের তথ্য পর্যালোচনা করে এই রশ্মি শনাক্ত করা হয়েছে।

বড় আকারের কৃষ্ণগহ্বরটি মহাবিশ্বের প্রথম সময়কার তথ্যাদি জানতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমির বিজ্ঞানী এমানুয়েল মোমজিয়ান বলেন, নতুন কৃষ্ণগহ্বর মহাজাগতিক শক্তির রশ্মি হিসেবে সরাসরি অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেবে। কয়েক দশক ধরে মহাবিশ্বে থাকা বিভিন্ন কৃষ্ণগহ্বরের শক্তিশালী রশ্মির কথা জানা গেলেও সেগুলোর গতি বা বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের।

সূত্র: এনডিটিভি